শহিদুল ইসলাম।
কক্সবাজারের টেকনাফে হঠাৎ তীব্র বাতাসে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এসময় দুই শতাধিক বিভিন্ন প্রজাতির গাছপালা,বিশটি বসতঘর,দশটি বৈদ্যুতিক খুঁটি সহ বেশ কয়েক টি খামার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এরপর থেকে খোলা আকাশের নীচে মানবেতর জীবনযাপন করছে। এখনো পর্যন্ত উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন সাহায্য সহযোগিতা দেয়নি বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।
শনিবার ( ১৭ আগস্ট) ভোররাতে টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ৪ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি জানিয়েছেন স্থানীয় ইউপি সদস্য আবুল হাসেম মেম্বার।
তিনি জানান,রাতে বেলায় খাওয়ার শেষে ঘুমিয়ে ছিলাম,এর আগে কোন ধরনের বাতাস বা ভারী বৃষ্টিপাত দেখা যায়নি।ভোররাতে হঠাৎ ২ মিনিটের তীব্র গতি’র বাতাস ও শিলা বৃষ্টিপাতে গাছপালা ভেঙে মানুষের বসতঘরে পড়ে।সে সঙ্গে বৈদ্যুতিক খুঁটি সহ অনেক লোকজনের খেত ও খামার ক্ষতিগ্রস্ত হয়।এবং এ ঘটনায় হোয়াইক্যং-শামলাপুর সড়কে গাছপালা ভেঙে পড়ায় গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। পরে স্থানীয় লোকজন সেগুলো সরিয়ে গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক করে দেন। তবে টেকনাফ উপজেলার অন্যান্য কোন জায়গায় এমনটা হয়নি বলে তিনি জানায়।এ ব্যাপারে হোয়াইক্যং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাওলানা নুর আহমদ আনোয়ারী মুঠোফোন রিসিভ না করার কারনে বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। এ বিষয়ে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা
( ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী জানান,শনিবার ভোররাতে হোয়াইক্যং ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডে হঠাৎ ২ মিনিটের তীব্র বাতাসে গাছপালা,মানুষের বসতঘর খেত-খামার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।এ বিষয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দের সহায়তায় দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে বলে তিনি জানায়।
######
পাঠকের মতামত